যাঁরা ছবি আঁকেন তাঁরা চিত্রশিল্পী, গানের শিল্পীদের বলা হয় সংগীতশিল্পী, অভিনেতা অভিনেত্রীরা পরিচিত হন নাট্যশিল্পী বা চলচ্চিত্রশিল্পী হিসেবে। যারা নৃত্য পরিবেশন করেন তাঁরা নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত। এভাবে সংস্কৃতি চর্চার প্রত্যেকটি বিভাগ ও বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন বা নির্দিষ্ট পরিচয় রয়েছে।
শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই চর্চা বা অনুশীলন প্রয়োজন। ছোটোবেলা, বড়বেলা, যেকোনো বয়স থেকেই যেকোনো শিল্পকলার চর্চা করা যায়। আবার প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে চর্চা করার জন্য, নির্দিষ্ট কিছু সহজ নিয়ম-কানুন মেনে অনুশীলন করতে হয়।
যেমন গান গাওয়ার জন্য সুর, তাল, লয় ইত্যাদি ভালো করে বুঝে নিতে হয়। সারেগামা বা সপ্তসুর থেকে শুরু করে অন্যান্য সুর, তাল ইত্যাদি রপ্ত করার জন্য প্রতিদিন অভ্যাস করতে হয়। যাকে সংগীত শিল্পীরা বলেন রেওয়াজ করা বা গলা সাধা। একজন সংগীত শিল্পীকে সারাজীবনই রেওয়াজ করতে হয়। সংগীতের ক্ষেত্রে যাঁরা খ্যাতিমান তাঁরা জীবনভর এই নিয়ম মেনে রেওয়াজ করার বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
চিত্রকলার ক্ষেত্রেও নিয়মিত ছবি আঁকতে হয়। চর্চা বা অনুশীলন করতে হয়। তবে সংগীতের ক্ষেত্রে যেমন শিশু বয়স থেকে সারেগামা ও সুর তাল লয় দীক্ষা নিতে হয় আঁকার ক্ষেত্রে শিশুদের ছবি আঁকার সাধারণ নিয়ম-কানুন জেনে ছবি আঁকার চেয়ে শিশু ইচ্ছেমতো আঁকুক, নিজের চিন্তা, স্বপ্ন ও ইচ্ছাকে রং তুলিতে তার কাগজে সহজে এঁকে ফেলুক এই স্বাভাবিকতাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিশুকে কখনো নির্দেশ দিয়ে ছবি আঁকানো উচিত নয়। শিশু ও ছোটরা একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত নিজে নিজেই আঁকবে। শিশু নিজে আঁকতে পারছে বলে অপার আনন্দে খুবই সুন্দর ছবি আঁকে।
সাধারণত ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই ধীরে ধীরে আঁকার নিয়ম-কানুন জেনে ছবি আঁকার চেষ্টা করা ভালো, মোটামুটি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিশু নিজে নিজে আঁকবে। নিয়ম-কানুন মেনে শিক্ষাগ্রহণ করাকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলে। বাংলাদেশে চারু ও কারুকলার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কথা এবার আমরা জানব।
কাজ: কোন বিষয়ে তোমার ছবি আঁকতে ভালো লাগে, সে বিষয়ে ৫টি বাক্য লেখো। |